Finance Is Mandatory

banner
Money লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Money লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

টাকার সম্পর্কে কিছু তথ্য ।


টাকা প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সাল থেকে বিদ্যমান

বাংলাদেশের প্রথম কাগজের টাকা চালু হয় ১৯৭২ সালে

প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার মানুষ যখন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিনিময়ের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবহার করতে শুরু করে, তখন থেকেই টাকার ধারণা জন্ম নেয়। তখনকার দিনগুলোতে কয়েন বা কাগজের টাকার ব্যবহার ছিল না; শাম(shell), লবণ, পশু এবং এমনকি বড় বড় পাথর (যেমন ইয়াপ দ্বীপের রাই স্টোন)ই টাকার মতো ব্যবহার করা হতো। সবাই এই বস্তুগুলোকে মূল্যবান মনে করত, কারণ এগুলো বিনিময়ের যোগ্য ছিল। সময়ের সাথে সাথে সমাজের বিকাশ এবং বাণিজ্যের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায়, টাকা আরো সুসংগঠিত হয়ে আজকের কয়েন ও কাগজের টাকায় পরিণত হয়।

বিশ্বে প্রায় ১৮০টি মুদ্রা রয়েছে

বর্তমানে, বিশ্বের প্রায় ১৮০টি স্বীকৃত মুদ্রা আছে, যার প্রত্যেকটির নিজস্ব মূল্য এবং বিনিময় হার রয়েছে। এগুলো বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের কর্তৃক প্রকাশিত হয় এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে পণ্য ও পরিষেবা ক্রয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়।

সবচেয়ে প্রাচীন কয়েন খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সাল থেকে

সবচেয়ে প্রাচীন কয়েনগুলি খ্যাতি লাভ করে লিডিয়া (আধুনিক তুরস্ক) রাজ্যের থেকে, খ্রিস্টপূর্ব ৬০০
সালে মুদ্রিত হয়। এই কয়েনগুলোকে লিডিয়ান সিংহ বলা হয়। এগুলো সোনা ও রুপার মিশ্রণ দিয়ে তৈরি হয়েছিল এবং বাণিজ্যকে আরও কার্যকর ও মানক করে তুলেছিল।

রোমান সাম্রাজ্য থেকেই টাকায় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি রাখা শুরু হয়

টাকায় শাসকদের বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ছবি রাখার প্রথা শুরু হয়েছিল রোমান সাম্রাজ্য থেকেই। এতে শাসকদের কর্তৃত্ব ও বৈধতা প্রতিষ্ঠিত করা হতো। আজকের দিনে, ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, জাতীয় গর্ব ও নকল টাকা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে টাকায় বিভিন্ন মানুষের ছবি দেখা যায়।

টাকা মুদ্রণ করা হয় মুদ্রণাগার বা প্রিন্টিং প্রেস দ্বারা

টাকার মুদ্রণ সরকার নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে করা হয়, যাদেরকে বলা হয় মুদ্রণাগার বা প্রিন্টিং প্রেস। উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিউরো অফ এনগ্রেভিং অ্যান্ড প্রিন্টিং এবং যুক্তরাজ্যের রয়্যাল মেন্ট। এই প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থনীতির চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকনোট ও কয়েন তৈরি করে।

প্রথম কাগজের টাকা চীনে উদ্ভাবিত হয়

প্রথম কাগজের টাকা চীনে উদ্ভাবিত হয়েছিল টাং রাজবংশ (৬১৮-৯০৭ সি.ই.)-এর সময়। বণিকরা প্রমিসরি নোট ব্যবহার করতেন, যা ধাতব কয়েনের তুলনায় বহন ও বিনিময়ে সহজ ছিল। এই উদ্ভাবন বাণিজ্যে এক নতুন যুগের সূচনা করে।

'টাকা' শব্দের উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ ‘মোনেটা’ থেকে

"টাকা" শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ মোনেটা থেকে, যা রোমান দেবী জুনোকে দেওয়া হয়েছিল। তিনি বিবাহের দেবী এবং দেবীদের রাণী হিসেবে পূজিত ছিলেন। তাঁর মন্দিরগুলোতে কয়েন মুদ্রণ করা হতো, যার ফলে দেবী ও মুদ্রার মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 সর্ববৃহৎ মুদ্রার নোট ছিল ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার

সর্ববৃহৎ মুদ্রার নোটটি মুদ্রিত হয়েছিল ২০০৮ সালে জিম্বাবুয়ের রিজার্ভ ব্যাংক দ্বারা, যা ছিল ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার। এটি হাইপারইনফ্লেশনের উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে, যেখানে মূল্য এত দ্রুত বেড়ে যায় যে আপনার টাকার ক্রয়ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়, যেমন একটি মিষ্টির প্যাকেটের দাম হঠাৎ £১ থেকে £১০০ হয়ে যাওয়া।


কাগজের নোট কি আসলে কাগজের?

অনেকে মনে করেন কাগজের নোট কাগজ দিয়ে তৈরি, কিন্তু আসলে তা কটন ও লিনেন ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়, যা এটিকে টেকসই করে তোলে।

টাকায় রয়েছে জটিল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য

ব্যাংকনোটের ডিজাইনে প্রায়শই জটিল নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য যেমন ওয়াটারমার্ক, হোলোগ্রাম ও বিশেষ কালি ব্যবহার করা হয়, যা নকল করা প্রতিরোধে সাহায্য করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলো মুদ্রার সততা ও সত্যতা নিশ্চিত করে, যার ফলে মুদ্রা ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা বজায় থাকে।

বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান নোট

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মূল্যমানের নোট হলো হাঙ্গেরির পেঙ্গো (100 মিলিয়ন বিলিয়ন পেঙ্গো), যা ১৯৪৬ সালে ছাপানো হয়েছিল। তবে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কারেন্সি হলো কুয়েতি দিনার (KWD)